WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
জহির ভূইয়া চট্টগ্রাম থেকে
কাল সিরিজের শেষ ওডিআই অনুষ্ঠিত হবে। আর এরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে সিরিজের প্রথম টেষ্ট চট্টগ্রামের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে। টেষ্ট দল ঘোষণাও করে দিয়েছে বিসিবি। যে কারণে আজ ভারতের বিপক্ষে ৩য় ওডিআই বা বাংলাওয়াশের মিশনের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ওডিআই ম্যাচের কথা পাশে জমা রেখে আসন্ন টেস্ট নিয়েই বেশি আলোচনা শোনা গেল।
আজ দলের কোন ক্রিকেটার আসলেন না। এলেন অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাক ডর্মোট। সংবাদ সম্মেলনে তাকে দলের উন্নতি নিয়ে বলতে বলা হলে তিনি বলেন, “যখন আমি বিশ্বকাপের প্রথম দিকে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে শুরু করেছিলাম তখন অবশ্যই কিছু উদ্বেগ (ফিল্ডিং নিয়ে) ছিল। নয় মাস ধরে এখানে থেকে কাজ করে আমি এটা বুঝতে করেছি। আমি ভাগ্যবান যে কোচিং স্টাফরা ফিল্ডিংয়ের প্রতি আগ্রহী। আমরা ফিল্ডিংটাকে আমাদের পারফরম্যান্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে দেখি। ছেলেরা মাঠে এবং মাঠের বাইরে যেভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিয়ে আমি খুশি হতে পারিনি। শেষ ম্যাচে কিছুটা আত্মবিশ্বাস খানিকটা বেড়েছে। ‘
হোম গ্রাউন্ডে খেলার পরও বাংলাদেশ হোম সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে বার বার? কেন? জবাবে বলেন, “এটি আমাদের হোম টিম হওয়ার জন্য সামান্য সুবিধা দেয়। দ্রুত পজিশনে আসার চেষ্টা করা, বিশেষ করে আউটফিল্ডে এটা গুরুত্বপূর্ণ। বল দেখার পর থেকে আপনাকে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ছেলেরা উইকেটে এবং আউটফিল্ড উভয় ক্ষেত্রেই খুব ভালোভাবে অর্জন করেছে। আমরা চাপের মধ্যে কয়েকটি কয়েকটি ক্যাচ ড্রপ করেছি। কিন্তু উচুতে থাকা বল ধরার চেয়েও ফিল্ডিংয়ের আরও অনেক কিছু আছে। বর্তমানে আমরা একটি দল হিসেবে নিজেদের তৈরি করছি “
ফিল্ডিং কোচ আরো বলেন, “আমি এখানে ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি ১৫ বছর আগে একাডেমি, এ দল এবং জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেছি। মাহমুদউল্লাহ এবং মুশির অভিষেক এবং এখন তাদের ক্যারিয়ারের শেষে তাদের সাথে কাজ করতে খুব ভালো লেগেছে। আমি মনে করি তারা তরুণ এবং ইতিবাচক খেলোয়াড়। আমাদের চার-পাঁচজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভালো অবস্থা নেআছে। স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড়দের নার্সিয়ে সিনিয়ররা চমৎকার কাজ করেছে ‘
বাংলাদেশের টেষ্ট ক্রিকেট প্রসঙ্গে বলেন, “আমি মনে করি দেশটি সাদা বলের ক্রিকেট পছন্দ করে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ঘরের মাঠে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি। টেস্ট খেলাটা একটা চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে চট্টগ্রামে। সামগ্রিক মনোভাব উন্নত হয়েছে। গত ১৫ বছরে খেলোয়াড়রা বেশ কিছু ভালো কোচিং করেছে। ১০-১৫টি ম্যাচের ভেতর থেকে ধারাবাহিকভাবে ছেলেদের বাছাই করাটাও দুর্দান্ত কাজ। আমরা গ্রুপ হিসেবে শেষ কয়েকটি ম্যাচে কিছুটা গতি এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে শুরু করছি।
আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা গত ১৫ বছর ধরে ভালো ফিল্ডিং করেছে। আমাদের শুধু তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ করতে হয়। আমাদের আরও কম বয়সী খেলোয়াড় আছে যারা অন্য বড় লেভেলে ফিল্ডিং করেনি। এখানে প্রতিটি খেলোয়াড়ই আলাদা। এমন দিন আসবে যখন সাকিব আধঘণ্টা ফিল্ডিংয়ে কাটাবেন, এবং এমন দিন আসবে যখন সে অনুভব করবে তার প্রয়োজন নেই। আমরা তরুণ খেলোয়াড়দের উন্নতি ঘটনাতে পরিকল্পনায় কাজ করছি, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘
গত দুই ম্যাচেই মুশফিকুর রহিম ব্যর্থ? কি বলবেন? বলেন,“মুশফিকের ক্যারিয়ার দীর্ঘ সময় খেলছে। সে একজন মূল্যবান খেলোয়াড়। তার ভূমিকা হল ইনিংসকে টেনি নিয়ে যাওয়া। যদিও তিনি শেষ ম্যাচে খুব বেশি স্কোর করতে পারেননি। আমরা উইকেটে যতোট সময় থাকতে পারব তো বেশি প্রতিপক্ষকে তত বেশি চাপে ফেলতে পারব। আমরা সেটাই করেছি, এবং তারা (ভারত) শেষ ওভারে ভুল করেছে। মুশফিক সব ফরম্যাটেই একজন বহুমুখী খেলোয়াড়। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোকে আমরা হালকাভাবে নিই না। এই দলটি কখনোই ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারেনি, এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল লক্ষ্য। নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা কাছাকাছি এসেছি। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার কাছাকাছি চলে এসেছি। আমরা প্রতিযোগিতামূলক ছিলাম। আমি জানি সিরিজ জয়ের পর এই ওয়ানডে সিরিজে আরও একটি জয়ের দিকেই ছেলেদের নজর। ব্যাটিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের কৌশল হল ৪০তম ওভার পর্যন্ত আমাদের সেরা পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে একজন থাকা, যাতে আমরা খেলাটিকে যতটা সম্ভব গভীরভাবে নিয়ে যেতে পারি। “হ্যাঁ, দায়িত্বটা শীর্ষ পাঁচ বা ছয়জনের। কিন্তু সবাই ভালো।’